সাড়ে ৬ ঘণ্টার আগুনে পুড়ে ছাই হয়ে গেছে রাজধানীর বঙ্গবাজার মার্কেট। আগুনে পুড়ে নিশ্চিহ্ন হয়েছে দেশের অন্যতম বৃহৎ এ পাইকারি মার্কেটের ৫ হাজার দোকান। ভয়ানক এই অগ্নিকাণ্ডের মধ্যে অলৌকিকভাবে অক্ষত উদ্ধার করা হয়েছে ইসলামের অন্যতম হাদিস গ্রন্থ সহিহুল বুখারির একটি ব্যাখ্যাগ্রন্থ।
গ্রন্থটি পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে এটিকে হাতে নিয়ে কান্না শুরু করেন উপস্থিত ব্যবসায়ীরা। এটিকে আল্লাহর অপার কুদরত বলেও তারা উল্লেখ করেন।
এদিকে বঙ্গবাজার গিয়ে দেখা যায়, ঈদের আগে পুঁজি হারিয়ে পথে বসেছেন হাজারো ব্যবসায়ী। ধ্বংসস্তুপ থেকে কিছু মালামাল ব্যবসায়ীরা বের করতে পারলেও পুড়ে গেছে বেশিরভাগ। অগ্নিকাণ্ডে ব্যবসায়ীদের ঈদের আগে কয়েক হাজার কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে দাবি বঙ্গবাজার মালিক সমিতির।
এদিকে ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীদের আশ্বাস দিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘ঈদের আগে এমন একটা দুর্ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্তদের যে কষ্ট-কান্না, তা সহ্য করা যায় না। আমি বলে দিয়েছি, তাদের যতটুকু পারি সাহায্য করব এবং কার কেমন ক্ষতি হয়েছে, এটা দেখব।
আজ বুধবার (৫ এপ্রিল) গণভবনে পদ্মা সেতুর সরকারি ঋণের দুই কিস্তি পরিশোধের চেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাতে তুলে দেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। এ সময় প্রধানমন্ত্রী আগুনে ক্ষতিগ্রস্তদের বিষয়ে কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘বঙ্গবাজার মার্কেটে একবার ১৯৯৫ সালে আগুন লাগে। এরপর আবার ২০১৮ সালে আগুন লাগে। তারপর আমরা এখানে সুপরিকল্পিত মার্কেট করার প্রকল্প গ্রহণ করি। তখন বেশ কিছু লোক বাধা দেয়। শুধু বাধা নয়, একটা রিটও করে। পরে হাইকোর্ট এটাকে স্থগিত করে দেন।’
তিনি বলেন, ‘সে সময় যদি এটা স্থগিত না করা হতো, তাহলে আমরা এখানে একটা ভালো মার্কেট তৈরি করে দিতে পারতাম। তাহলে আজ এ ধরনের ভয়াবহ দুর্ঘটনা ঘটত না।
পাঠকের মতামত